প্রশ্ন
পরিবেশ দূষণরোধে কুরআন হাদিসে কি কোনো বক্তব্য আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মূলত মানুষের কৃতকর্মের কারণেই হয়ে থাকে। পরিবেশকে কিভাবে দূষণমুক্ত রাখার মাধ্যমে সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করা যায়, রাসূল (সা.) সে ব্যাপারে সুন্দর দিকনির্দেশনা দিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে এই বিষয়ে সুন্দর দিকনির্দেশনা বিদ্যমান রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদের কোনো কোনো কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’[সূরা আররুম, আয়াত: ৪১]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি (বিনা প্রয়োজনে) গাছ কাটবে আল্লাহ তার মাথাকে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন।’[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫২৪১]
সেনাদল প্রেরণকালে রাসূল (সা.) বলতেন,
‘তোমরা কোনো নারীকে হত্যা করবে না, অসহায় কোনো শিশুকেও না; আর না অক্ষম বৃদ্ধকে। আর কোনো গাছ উপড়াবে না, কোনো খেজুর গাছ জ্বালিয়ে দেবে না। আর কোনো গৃহও ধ্বংস করবে না।’[সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭৩১]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত (অনাবাদী) ভূমিকে জীবিত (চাষযোগ্য) করবে, সেটা তারই জন্য।’[সুনানে আবু দাউদ,হাদিস: ৩০৭৫; মুসনাদ আহমাদ,হাদিস: ১৪৩১০]
অন্য হাদিসে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান যদি একটি বৃক্ষের চারা রোপণ করে অথবা ক্ষেত-খামার করে, অতঃপর তা মানুষ, পাখি বা অন্য কোনো জন্তু ভক্ষণ করে, তা তার জন্য সদকার সওয়াব হবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৫৩২]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কেয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে যা রোপণ করা যায়, তবে সে চারাটি লাগাবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৫৬০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم