প্রশ্ন
আমার আব্বার পরিবর্তে এক লোককে দিয়ে বদলি হজ্ব করাতে চাচ্ছি। কিন্তু আমার এক বন্ধু বলল, বদলি হজ্ব এমন লোককে দিয়ে করাতে হয় যে পূর্বে একবার হজ্ব করেছে। তার কথাটি কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কারও পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করানোর জন্য এমন লোককে পাঠানো উচিত, যিনি আগে নিজের হজ্ব আদায় করেছেন।
যদি এমন হয় যে যাকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো হচ্ছে তার উপর হজ্ব ফরজ নয় তাহলে তাকে দিয়েও বদলি হজ্ব করানো জায়েয। তবে তা মাকরুহ হবে। আর যদি তার উপর হজ্ব ফরজ থাকে কিন্তু সে আদায় করেনি তাহলে তাকে দিয়ে বদলি হজ্ব করানো মাকরুহে তাহরিমি হবে। অবশ্য এমন ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হজ্ব করালেও হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বার বদলি হজ্ব করাতে হবে না।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস )রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে হজ্বের ইহরাম করার সময়-لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ (শুবরুমার পক্ষ থেকে লাববাইক) এভাবে বলতে শুনে বললেন, ‘শুবরুমা কে?’ লোকটি বলল, ‘আমার ভাই (বর্ণনাকারী বলেন) অথবা বলল, আমার নিকটাত্মীয় এক লোক।’ রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, ‘তুমি কি নিজের হজ্ব করেছ?’ সে বলল, ‘না।’ নবী কারিম (সা.) বললেন, ‘আগে তোমার নিজের হজ্ব কর তারপর শুবরুমার পক্ষ থেকে কর।’ [সুনানে আবু দাউদ ১/২৫২]
হযরত আলী রাযি. থেকে বর্ণিত আছে-كان لا يرى بأسا أن يحج الصرورة عن الرجل যে ব্যক্তি নিজের হজ্ব করেনি যে অন্যের পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব করাকে তিনি দোষের বিষয় মনে করতেন না।
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত মুজাহিদ, হাসান বসরী ও সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রহ.) থেকেও এমনটি বর্ণিত আছে।
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/১৮৯ মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫১; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৩; ফাতহুল কাদীর ৩/৭৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم