প্রশ্ন
আমি না বুঝে আমাদের পাশের বাড়ির গাছের কাঠাল না বলে খেয়ে ফেলেছি। এখন আমি অনুতপ্ত। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না বলে কারো সম্পদ আত্মসাৎ করা মারাত্মক অন্যায়। তবে আপনি যেহেতু অনুতপ্ত হয়েছেন তাই এখন আপনার করণীয় হলো, উক্ত কাঠালের যে মূল্য আসে তা মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যদি মালিকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব না হয় তাহলে সেই পরিমাণ মূল্য গরিবদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا
‘যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রা.) হতে বর্ণিত আছে, কোন হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি সনাক্তকারী কোন লোক পাওয়া যায় তাহলে তাকে তা ফিরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখ এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার কর। তারপর মালিক এসে গেলে এটা তাকে ফিরিয়ে দিও।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১৩৭৩]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যদি কোনো কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু তুলে নেয়, সে যেন এ বিষয়ে দুজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী রাখে। সে যেন বিষয়টি গোপন না রাখে, পরিবর্তন-পরিবর্ধন না করে। এরপর যদি মালিক এসে যায়, তাহলে সে-ই সেটার অধিকারী। আর যদি মালিক না আসে, তাহলে সেটা আল্লাহর সম্পদ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।’ [ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৪৮৯৪]
অন্যায়ভাবে কারো জিনিস আত্মসাৎ করার পর ফিরিয়ে দেওয়া ও হারানো জিনিস ফিরিয়ে দেওয়ার বিধান একই। পাশাপাশি খাঁটি মনে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم