প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমার এক মামা ইন্তেকাল করেছেন। ইন্তেকালের পূর্বে তিনি তার বড় ছেলেকে অসিয়ত করে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার চাচার কাছে এক লক্ষ টাকা পাই। আমার মৃত্যুর পরে এ টাকার কিছু অংশ গ্রামের এতিমখানায় দিয়ে দিবে। আর বাকি টাকা দিয়ে চল্লিশতম দিনে কুলখানী করবে। জানাযার পরে আমাদের এলাকার ইমাম সাহেবের নিকট বিষয়টি পেশ করলে তিনি বললেন, শরীয়তে কুলখানী করা বৈধ নয়। এখন হযরতের কাছে আমার জানার বিষয় হলো,
১. ইমাম সাহেবের কথা কি ঠিক?
২. যদি ঠিক হয়, তাহলে এখন আমরা আমার মামার এ অসিয়ত কীভাবে আদায় করব?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
বর্তমানে আমাদের সমাজে কুলখানী বলতে যা প্রচলিত সাধারণত তা নির্দিষ্ট দিন-তারিখে মায়্যেতের জন্য দুআ করিয়ে মিষ্টি বা খাবারের আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়। এটি একটি ভুল প্রথা, যা সংশোধনযোগ্য। ক্ষেত্র বিশেষে এতে গরীব-মিসকিনদের চেয়ে ধনীরাই বেশি আমন্ত্রিত হয়ে থাকে। কোথাও এর সাথে আরো শরীয়তনিষিদ্ধ কাজ যুক্ত হয়। তাই এ পদ্ধতি ঠিক নয়। আপনারা এভাবে কুলখানী না করে এক লক্ষ টাকার অংশবিশেষ এতিমখানায় প্রদানের পর বাকি অংশ চাইলে গরীব-মিসকিনদের দান করে দিতে পারেন।
উল্লেখ্য, কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে প্রথমে কাফন-দাফনের খরচ নির্বাহ করা হবে। এরপর তার কোনো ঋণ থাকলে অবশিষ্ট সম্পদ থেকে তা পরিশোধ করতে হবে। এরপর যা সম্পদ অবশিষ্ট থাকবে এর এক তৃতীয়াংশ থেকে তার যদি কোনো বৈধ অসিয়ত থাকে তবে তা আদায় করা হবে।
-আলমাবসূত, সারাখসী ২৮/৮৮; ফাতাওয়া বাযযাযিয়াহ ৪/৮১; রদ্দুল মুহতার ২/২৪০, ৬/৬৭০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم