প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রাতে ঘুমানোর আগে ওজু করে ঘুমানো অনেক ফজিলত ।
১. আমি ওজু করার পর ঘুমের আগের আমলগুলো করি। যেমন- আয়াতুল কুরসি পাঠ, তিন কুল পাঠ, সূরা বাকারাহ’র শেষ দূই আয়াত ইত্যাদি। কিন্তু এরপর প্রায়ই আবার পেশাবের বেগ আসে বা বায়ু বের হয়। এ অবস্থায় আবার ওজু করে কি আবার রাতের আমল করতে হবে? নাকি শুধু ওজু করলেই হবে?
২. বিয়ের পর ঘুমের আগে স্বামী স্ত্রী সহবাস হয় জানি। তখন তো ওজু করার ফজিলত পাবোনা। সেক্ষেত্রে কি বিছানায় যাওয়ার আগে ওজু করে নিলে আর আমলগুলো আগে করলে ফজিলত পাওয়া যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
রাতে ঘুমানোর পূর্বে অজু করে জিকির-আজকার তিলাওয়াত করার পর অজু চলে গেলে সম্ভব হলে পুনরায় অজু করে নেবে। এরপর ঘুমিয়ে পড়বে। রাতের জিকির-আজকার ও তিলাওয়াত পুণরায় করতে হবে না।স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর পুনরায় সহবাস করতে কিংবা ঘুমাতে চাইলে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। ১. ফরজ গোসল করে নেয়া।২. লজ্জাস্থান ধুয়ে অজু করে নেয়া।৩. বিলকুল পানি স্পর্শ না করা। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে রাসূল (সা.) সবরকম আমল করেছেন।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنَامُ وَهُوَ جُنُبٌ وَلاَ يَمَسُّ مَاءً
আয়িশাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- রাসূল (সা.) কখনো কখনো জুনুবী (নাপাক) অবস্থায় ঘুমিয়ে যেতেন, এমনকি পানি স্পর্শও করতেন না। (জামে’ তিরমিজী, হাদিস: ১১৮)
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيَنَامُ أَحَدُنَا وَهُوَ جُنُبٌ قَالَ “ نَعَمْ إِذَا تَوَضَّأَ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ
ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, আমদের কেউ কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তবে ওযূ করে । (জামে’ তিরমিজী, হাদিস: ১২০)
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم