প্রশ্ন
আমার দুই আলমারী জামা কাপড় আছে, যেগুলো সচরাচর ব্যবহার হয় না। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে আমার উপর কুরবানী আবশ্যক হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কারো কাছে যদি কুরবানীর দিনগুলোতে প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বিদ্যমান থাকে তাহলেই তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ، فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
‘যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে, তবুও সে কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ‘মুসল্লা’ (ঈদগাহ)-এ না আসে।’ [মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৭৫৬৫]
বর্তমানে জামা কাপড় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। কাজেই নেসাব হিসাবের সময় তা নেসাবের মাঝে গণ্য হবে না।
তবে কারো যদি প্রয়োজন অতিরিক্ত জামা কাপড় থাকে যেগুলো কখনই সে ব্যবহার করে না তাহলে তা কুরবানীর নেসাব গণনার সময় নেসাবের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم