প্রশ্ন
আমি যদি অন্যের কল্যাণার্থে দোয়া করি তাহলে আমার কোনো ফায়দা হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কল্যাণকামনাই দ্বীন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: « الدِّينُ النَّصِيحَةُ، قُلْنَا: لِمَنْ؟ قَالَ: لِلهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ
‘তামীম আদদারী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, দ্বীন হচ্ছে কল্যাণকামনা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহ, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসূলের, মুসলিম নেতাদের এবং সকল মুসলিমের জন্য। [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৫]
কাজেই প্রতিটি মুসলমানের জন্য কল্যাণ কামনা করতে হবে। তাছাড়া অন্যের কল্যাণ কামনা করা হলে তাতে নিজের কল্যাণ হয়ে থাকে। কারণ হাদিস শরিফে এসেছে-
‘উম্মুদ দারদা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলতেন, এক মুসলমান যখন অপর মুসলমানের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করে তখন তা কবুল করা হয়। তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেওয়া হয়। যখনই সে অপর মুসলমানের জন্য কল্যাণের দোয়া করে তখনই সেই ফেরেশতা বলে, আমীন, তোমাকেও যেন অনুরূপ দান করা হয়।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৬]
কাজেই সর্বদা অন্যের কল্যাণ করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم