প্রশ্ন
তাবীজ ব্যবহার করার হুকুম কী? কেউ কেউ এটাকে শিরক বলে। এ ব্যাপারে শরিয়তের অবস্থান কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাবীজ ব্যবহার করা বৈধ। সাহাবায়ে কেরাম তাবীজকে বৈধ মনে করেছেন এবং ব্যবহার করেছেন। রাসূল (সা.) ভয়ভীতি থেকে বাঁচার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে এই দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) তার বুঝমান বাচ্চাদেরকে এই দোয়া শিক্ষা দিতেন এবং যারা অবুঝ তাদের গলায় তা ঝলিয়ে দিতেন। [সুনানে আবু দাউদ ২/৫৪৩]
এর থেকে প্রমাণিত হয় সাহাবায়ে কেরাম তাবীজকে বৈধ মনে করতেন।
অবশ্য কোনো কোনো হাদিসে ‘তামীমা’ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তামীমা এবং তার এক জিনিস নয়। উভয়টাকে এক মনে করা স্থূলবুদ্ধিতার পরিচায়ক।
আরবি ভাষাবিদ ও মুহাদ্দিসদের ভাষ্যমতে তামীমা হলো জাহেলী যুগে মুশরিকগণ সরাসরি ক্রিয়াশীল মনে করে বাচ্চাদের গলায় যা ঝুলাত। [আলমুগরিব ১/১০৭; তাহযীবুল লুগাহ ১৪/২৬০]
তাই নিম্নে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে তাবীজ ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।
১। আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে তাবীজকে অষুধের মতো শুধু উপকরণ হিসেবে বিশ্বাস রাখা।
২। কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম ও সিফাত ইত্যাদি বৈধ বিষয় দ্বারা তাবীজ করা।
৩। কুফুরী বা এমন শব্দ ব্যবহার না করা যার অর্থ জানা যায় না।
সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৭২৬ ;রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬৩; আলমাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ আলকুয়েতিয়্যাহ ১৩/২৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم