প্রশ্ন
আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা। ঈদের দিনেও বেশ কিছু দায়িত্ব থাকায় ফজরের নামাজের পরপরই আমি কোরবানির পশু জবাই করে কাজের উদ্দেশ্যে বের হই। উল্লেখ্য যে, এলাকার কোনো মসজিদে তখনো ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ অবস্থায় কি আমার কুরবানি আদায় সঠিক হয়েছে? সঠিক না হলে এখন আমার করণীয় কী ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনার কুরবানি আদায় সঠিক হয়নি। কেননা এলাকার কোথাও ঈদের নামায হওয়ার আগে কুরবানি করলে সে কুরবানি আদায় হয় না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
রাসূলে কারিম (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের আগে কুরবানির পশু যবাই করবে সেটা তার নিজের জন্য হবে (কুরবানি হবে না।) আর যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পর কুরবানি করবে তার কুরবানি আদায় হবে এবং সে মুসলমানদের পথ অনুসরণ করেছে।’ [সহহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫০৩১]
অন্য একটি হাদিসে এসেছে,
হযরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত নবী কারিম (সা.) বলেছেন,
‘ঈদের দিন আমরা প্রথমে ঈদের নামায আদায় করি তারপর এসে কুরবানি করি। যে ব্যক্তি এভাবে আদায় করবে সে আমাদের তরীকা মোতাবেক করল। আর যে নামাযের আগেই পশু যবাই করল সেটা তার পরিবারের গোশতের প্রয়োজন পূরণ করবে। এটা নুসুক (কুরবানি) হবে না।
[সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫০৩৫]
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার কুরবানি আদায় হয়নি, তাই এখন আপনার করণীয় হলো, কুরবানির যোগ্য একটি ছাগল কিংবা দুম্বার মূল্য সদকা করে দেওয়া।
হাদিস শরিফে এসেছে,
রাসূলে কারিম (সা.) বলেন,
‘যে নামাযের আগে পশু যবাই করেছে সে যেন (নামাযের পর) অন্য আরেকটি পশু যবাই করে।’ [সহিহ বুখারি ২/৮৩৪]
ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم