প্রশ্ন
বর্তমানে সরকার কর্তৃক করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে এবং জনগণকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জানতে চাচ্ছি, এই ভ্যাকসিন নেওয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওষুধ বা ভ্যাকসিন সম্পর্কে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি হল, ওষুধ বা ভ্যাকসিনের রোগ নিরাময়ের কোনো ক্ষমতা নেই। বরং রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে। বাকি সুন্নাহ হিসেবে মানুষ ওষুধ গ্রহণ করে থাকে। কারণ, হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
لِكُلِّ دَاءٍ دَوَاءٌ فَإِذَا أُصِيبَ دَوَاءُ الدَّاءِ بَرَأَ بِإِذْنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
‘প্রতিটি ব্যাধির প্রতিকার রয়েছে। অতএব রোগে যথাযথ ঔষধ প্রয়োগ করা হলে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য লাভ হয়।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৬৩৪]
কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ গ্রহণ বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত হল, সেই ভ্যাকসিন বা ওষুধের উপাদান বৈধ হওয়া। কারণ, হারাম ওষুধ গ্রহণ করতে রাসূল (সা.) নিষেধ করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রোগ এবং ঔষধ অবতীর্ণ করেছেন এবং প্রতিটি রোগের ঔষধ সৃষ্টি করেছেন সুতরাং তোমরা ঔষধ গ্রহণ করো, তবে হারাম ঔষধ নয়।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৭৪]
বর্তমান উলামায়ে কেরামগণ গবেষণা করে দেখেছেন যে, আমাদের দেশে সাধারণভাবে প্রচলিত করোনা ভ্যাকসিন হারাম কোনো উপাদান দ্বারা তৈরি নয়। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা কার্যকরীও বটে। তাই বর্তমানে করোনা ভ্যাকসিন নিতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم