প্রশ্ন
আমি একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। উক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার জন্য যে কোয়ালিফিকেশন চাওয়া হয়েছিল তা থেকে আমার যোগ্যতা কিছুটা কম ছিল। তারপরও আমি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আবেদন করি। কিন্তু ঘটনাক্রমে আমি সেখানে মনোনীত হয়ে যাই। আমার সে সময় চাকরিটি খুবই প্রয়োজন ছিল। তাই এ কাজটি করতে বাধ্য হয়েছি। জানতে চাচ্ছি, আমার এ কাজটি কি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হয়েছে? আমার প্রাপ্ত বেতন বৈধ হবে কি? উল্লেখ্য,
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ। তাছাড়া এতে ধোঁকারও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
‘তোমরা মিথ্যা কথা থেকে বাঁচো।’[সূরা হজ্ব, আয়াত: ৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا
‘যে ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৫]
কাজেই আপনার যতই প্রয়োজন থাকুক, আপনার জন্য মিথ্যা ও ধোঁকার আশ্রয় নেওয়া কোনোক্রমেই বৈধ হয়নি।
তবে আপনি যদি উক্ত পদের যোগ্য হয়ে থাকেন এবং যথাযথভাবে আপনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন তাহলে আপনার বেতন বৈধ হয়ে যাবে।
আপনার করণীয় হল, উক্ত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা প্রর্থনা করা।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم