প্রশ্ন
আমি জানি যে, গীবত করা ইসলামে হারাম। প্রশ্ন হল, লেখার মাধ্যমে যদি কারো দোষ বর্ণনা করা হয় তাহলে তা গীবত হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
গীবত বলা হয়, কারো এমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যা সে অপছন্দ করে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ ” . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ ” ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ ” . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ
‘আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, (গীবত হল) তোমার ভাই এর সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হল, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই এর মধ্যে থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তা হলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৩৫৭]
ইমাম নববি (রহ.) বলেছেন, লেখার মাধ্যমে কারো দোষ বর্ণনা করা হলে তা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে। [আল আযকার পৃ. ৩৩৬]
সুতরাং লেখার মাধ্যমে যদি কারো দোষ বর্ণনা করা হয় তাহলে তাও গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم