প্রশ্ন
আমি একটি বইয়ে পড়েছি, গীবত করা নিষেধ। জানতে চাচ্ছি, গীবত করা কোনো পর্যায়ের গুনাহ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের দৃষ্টিতে গীবত অত্যন্ত গর্হিত একটি কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। গীবত করাকে কুরআনে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ
‘আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।’ [সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১২]
গীবতকারীর জন্য কঠিন শাস্তির ঘোষণা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আনাস ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমন্ডলে ও বুকে আচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৮৭৮]
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এ জাতীয় ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড থেকে হেফাজত করুন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم