প্রশ্ন
সফর অবস্থায় যোহরের কাযা, মুকিম অবস্থায় দুই রাকাত আদায় করবে নাকি চার রাকাত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সফর অবস্থায় চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত হয়ে যায়। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلَاةِ
‘আর যখন তোমরা যমীনে সফর করবে, তখন তোমাদের নামাজ কসর করাতে কোন দোষ নেই।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১০১]
বিশিষ্ট তাবেয়ী হাসান বসরী (রহ.) বলেন,
عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: إِذَا نَسِيَ صَلَاةً فِي الْحَضَرِ فَذَكَرَهَا فِي السَّفَرِ صَلَّى صَلَاةَ الْحَضَرِ وَإِذَا نَسِيَ صَلَاةً فِي السَّفَرِ فَذَكَرَهَا فِي الْحَضَرِ صَلَّى صَلَاةَ السَّفَرِ
‘কারো যদি মুকিম অবস্থায় ভুলে যাওয়া নামাজ সফর অবস্থায় স্মরণ হয় তাহলে মুকিম অবস্থার নামাজই পড়তে হবে। আর যদি সফর অবস্থায় ভুলে যাওয়া নামাজ মুকিম অবস্থায় স্মরণ পড়ে তাহলে সফর অবস্থার নামাজই পড়তে হবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৪৭৭৬]
সুতরাং, সফর অবস্থায় কাযা হওয়া যোহরের নামাজের কাযা মুকিম অবস্থায় দুই রাকাতই আদায় করতে হবে। চার রাকাত আদায় করা লাগবে না।
হেদায়া ১/১৬৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم