প্রশ্ন
রাসূল (সা.) আরব ছাড়া আর কোথাও ভ্রমণ করেননি। সুতরাং তিনি কিভাবে সমগ্র বিশ্বের নবি হলেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সমগ্র বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলাই রাসূল (সা.)-কে সমগ্র বিশ্বের নবি বানিয়েছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
‘আমিতো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানেনা।’ [সূরা সাবা, আয়াত: ২৮]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ
‘আর আমি তো তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’ [সূরা আম্বীয়া, আয়াত: ১০৭]
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً
‘আমাকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১০৫০]
আর তাছাড় সার্বজনীন হওয়ার জন্য যেমন প্রতিটি রাষ্ট্রে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, যেমন সূর্য ও চন্দ্র। তাদের আলো সার্বজনীন। কিন্তু এদের প্রতিটি রাষ্ট্রে স্বতন্ত্রভাবে সফর করার প্রয়োজন পড়ে না। বরং এদের আলোই এদের সার্বজনীন হওয়ার প্রমাণ বহন করে। ঠিক তেমনি রাসূল (সা.)-এর আনীত হেদায়েতের আলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়াই প্রমাণ বহন করে যে, রাসূল (সা.) সমগ্র বিশ্বের মানুষের প্রতি রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم