প্রশ্ন
পর্দার আড়াল থেকে কোনো ছাত্রী তার শিক্ষকের সাথে রসিকতা করতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নারীদের কণ্ঠস্বরও পর্দার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামি শরিয়তে প্রয়োজনের সময় পরপুরুষের সাথে কথা বলার অনুমতি থাকলেও নারীদেরকে কর্কশ ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন ফেতনার আশংকা না থাকে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا
‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।’ [সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২]
কাজেই পর্দার আড়াল থেকে শিক্ষকের সাথে রসিকতা করা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে না। তাছাড়া হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
فالعينان زناهما النظر، والأذنان زناهما الاستماع، واللسان زناه الكلام
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুই চোখের যিনা হলো দেখা, দুই কানের যিনা হলো, শোনা, আর মুখের যিনা হলো কথা বলা।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৫৭]
সুতরাং নারীদের জন্য পরপুরুষের সাথে রসিকতা করা কোনোক্রমেই বৈধ হবে না।
আহকামুল কুরআন ৩/৩১৭; রদ্দুল মুহতার ২/৯৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم