প্রশ্ন
করোনাকালে বিভিন্ন দেশে দেখেছি যে, তারা আজানের শব্দে পরিবর্তন করেছে। আমি জানতে চাচ্ছি, এভাবে আজানের শব্দে পরিবর্তন করা বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো এলাকায় কঠিন মহামারি দেখা দিলে সেখানে আজানের শব্দে পরিবর্তন করা শরিয়ত সম্মত। হাদিসে এর প্রমাণ রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
حَدَّثَنِي نَافِعٌ قَالَ أَذَّنَ ابْنُ عُمَرَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ بِضَجْنَانَ ثُمَّ قَالَ صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ ثُمَّ يَقُولُ عَلَى إِثْرِهِ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ فِي اللَّيْلَةِ الْبَارِدَةِ أَوْ الْمَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ
‘নাফে (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচন্ড এক শীতের রাতে ইবনে উমর (রা.) যাজনান নামক স্থানে আজান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেন, তোমরা আবাসস্থলেই নামাজ আদায় করে নাও। পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ আবাসস্থলে নামাজ আদায় কর।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩২]
সুতরাং কোনো এলাকায় যদি করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে সেখানে আজানের শব্দ পরিবর্তন করে ‘আসসালাতু ফি রিহালিকুম বা সল্লু ফি রিহালিকুম’ বলতে কোনো সমস্যা নেই।
হাশিয়াতুত তাহতাওয়ী আলা মারাকিল ফালাহ পৃ. ২৯৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم