প্রশ্ন
তারাবির নামাজ তো সুন্নতে মুয়াক্কাদা। সে হিসেবে আমি যদি তারাবি না পড়ে ইকামতে দ্বীন সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ি তাহলে হাদিসে বর্ণিত রমজানের রাতে নামাজ পড়ার ফজিলত লাভ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সুন্নত নামাজগুলো ফরজ নামাজের জন্য সম্পূরক। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, সুন্নত ও নফল নামাজ দ্বারা বান্দার ফরজ নামাজের ত্রুটি দূর করা হবে। হাদিসের ভাষ্য হল,
يَقُولُ رَبُّنَا جَلَّ وَعَزَّ لِمَلَائِكَتِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ انْظُرُوا فِي صَلَاةِ عَبْدِي أَتَمَّهَا أَمْ نَقَصَهَا فَإِنْ كَانَتْ تَامَّةً كُتِبَتْ لَهُ تَامَّةً وَإِنْ كَانَ انْتَقَصَ مِنْهَا شَيْئًا قَالَ انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَإِنْ كَانَ لَهُ تَطَوُّعٌ قَالَ أَتِمُّوا لِعَبْدِي فَرِيضَتَهُ مِنْ تَطَوُّعِهِ
‘আমাদের মহান রব ফিরিশতাদের বান্দার (ফরজ) নামাজ সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও জিজ্ঞেস করবেন, দেখো তো সে তা পরিপূর্ণভাবে আদায় করেছে নাকি তাতে কোন ত্রুটি রয়েছে? অতঃপর বান্দার নামাজ পূর্ণাঙ্গ হলে পূর্ণাঙ্গই লিখা হবে। আর যদি তাতে ত্রুটি থাকে তাহলে মহান আল্লাহ ফিরিশতাদের বলবেন, দেখো তো আমার বান্দার কোন নফল (বা সুন্নত) নামাজ আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে তিনি বলবেন, আমার বান্দার ফরজ নামাজের ঘাটতি তার নফল বা সুন্নত নামাজ দ্বারা পরিপূর্ণ করো।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৮৬৪]
কাজেই সুন্নতের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
আর ইকামতে দ্বীনের জন্য সুন্নত ছাড়ার বিষয়টি হল, যদি কোনো ওযর থাকে বা আসলেই কোনো ব্যক্তিকে ইকামতে দ্বীনের জন্য প্রেরণ করা হয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে সর্বদা সুন্নত ছেড়ে দেওয়া বা দ্বীনি কাজ হলেই সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার আইন করে নেওয়ার সুযোগ শরিয়তে দেওয়া হয়নি। যখন বিভিন্ন জায়গায় জিহাদ চলত, ফিকহি বিষয় নিয়ে আলোচনা হত বা মুসলিম উম্মাহের কোনো বিপর্যয়ের সময় তারাবির নামাজ পড়া হয়নি- এমন কোনো মাসআলা আমাদের সামনে আসেনি। কাজেই ইকামতের দ্বীন করলেও রমজানে তারাবি পড়ার সওয়াব লাভ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم