প্রশ্ন
সফর অবস্থায় কি রোজা রাখা নিষেধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, সফর অবস্থায় রোজা রাখা নিষিদ্ধ নয়। তবে কেউ চাইলে না রাখতে পারে। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ
‘(রোজা) নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৪]
এই আয়াতে সুস্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে, স্বেচ্ছায় কেউ সৎ কাজ করলে তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। কাজেই সফরে কারো রোজা রাখার সামর্থ্য থাকলে তিনি রোজা রাখবেন। সেটিই তার জন্য উত্তম হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم