প্রশ্ন
কেউ বলেন, রাসূল (সা.) কবরে জীবিত। আবার কেউ বলেন, মৃত। আমার প্রশ্ন হল, এগুলো কি ঈমানের কোন বিষয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) যে ইন্তেকাল করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। সকল নবী-রাসূলকে দুনিয়া ও আখেরাত এ দু’টির যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বলা হয়েছিল। রাসূল (সা.)-কেও বেছে নিতে বলা হলে তিনি আখেরাতকেই বেছে নিয়েছিলেন। হাদিস শরিফে এসেছে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كُنْتُ أَسْمَعُ أَنَّهُ لَا يَمُوْتُ نَبِيٌّ حَتَّى يُخَيَّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ فِيْ مَرَضِهِ الَّذِيْ مَاتَ فِيْهِ وَأَخَذَتْهُ بُحَّةٌ يَقُوْلُ (مَعَ الَّذِيْنَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ) الْآيَةَ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ خُيِّرَ
‘আমি এ কথা শুনেছিলাম যে, কোন নবী মারা যান না যতক্ষণ না তাঁকে বলা হয় দুনিয়া বা আখিরাতের একটি বেছে নিতে। যে রোগে নবী (সা.) ইন্তিকাল করেন সে রোগে আমি নবী (সা.)-কে যন্ত্রণায় কাতর অবস্থায় বলতে শুনেছি, তাঁদের সঙ্গে যাঁদের প্রতি আল্লাহ তাআলা নিয়ামত প্রদান করেছেন- (তাঁরা হলেন- নবী (আ.)-গণ, সিদ্দীকগণ এবং শহীদগণ)। তখন আমি ধারণা করলাম যে, তাঁকেও একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৪৩৫]
তবে রূহের জগতে তিনি জীবিত। এ কারণেই কেউ যদি রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করে তাহলে ফেরেশতারা সেই দরূদ রাসূলের কাছে পৌঁছিয়ে থাকে। হাদিস শরিফে এসেছে রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُونِي مِنْ أُمَّتِي السَّلَامَ
‘আল্লাহ তাঁআলার কতক ফেরেশতা এমন রয়েছে, যারা পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়ায়, তাঁরা আমার উম্মতের সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে থাকেন।’ [সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ১২৮২]
আর ঈমান সংশ্লিষ্ট বিষয় হল, রাসূল (সা.) আল্লাহর নবী, তাঁর উপর কিতাব নাজিল হয়েছে এই বিষয়গুলোর উপর বিশ্বাস রাখা। তিনি মৃত না জীবিত- এই বিষয়গুলোর মৌলিক কোন বিষয় নয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم