প্রশ্ন
রাসূল (সা.) জীবিত, নাকি মৃত? অনেকে বলে থাকে, রাসূল (সা.) জীবিত। আবার কেউ বলে, মৃত। এর মধ্যে কোনটি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
দুনিয়ার হিসেবে রাসূল (সা.) মৃত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ
‘নিশ্চয় তুমি মরণশীল এবং তারাও মরণশীল।’ [সূরা যুমার, আয়াত: ৩০]
আরেক আয়াতে এসেছে,
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ
‘আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৪৪]
আর রূহের জগতে সকলের রূহই জীবিত থাকে। রাসূল (সা.)-এর রূহ আল্লাহ যেভাবে চান, সেভাবেই জীবিত আছে। আমাদের রূহের চাইতে রাসূল (সা.)-এর রূহ অনেক শক্তিশালী হিসেবে জীবিত আছে। কবর জিয়ারতের সময় যখন মৃত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া তখন সালামের জবাব দেওয়া জন্য আল্লাহ তাআলা মৃত ব্যক্তির রূহকে কবরে ফিরিয়ে দেন। হাদিস শরিফে এসেছে রাসূল (সা.) বলেছেন,
ما من مسلم يمر بقبر أخيه كان يعرفه في الدنيا فَيُسَلم عليه، إلا رد الله عليه روحه، حتى يرد عليه السلام
‘যখন কোনো মুসলিম ব্যক্তি দুনিয়াতে পরিচিত তার কোনো মৃত ভাইয়ের কবরের পাশ দিয়ে গমন করে এবং তাকে সালাম দেয় তখন তার সালামের উত্তর দেওয়ার জন্য আল্লাহ তার রূহকে ফেরত দেন।’ [আল ইসতিযকার ১/১৮৫]
বিভিন্ন সহিহ হাদিস থেকে বুঝা যায়, রাসূল (সা.)-এর রূহ সাধারণ মানুষের রূহের চেয়ে আরো শক্তিশালী। একারণেই উম্মতের যে কোনো অবস্থা আল্লাহ তাআলা রাসূল (সা.)-এর সামনে পেশ করতে পারেন। কখনো কখনো উম্মতের কোনো কোনো আমলনামা রাসূল (সা.)-এর সামনে পেশ করা হয়। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কেউ দরূদ পাঠ করলে ফেরেশতারা সে বিষয়ে রাসূল (সা.)-কে অবহিত করেন।
সুতরাং রাসূল (সা.) দুনিয়ার জগতে জীবিত নন। বরং রূহের জগতে আল্লাহ তাআলা যেভাবে জীবিত রেখেছেন সেভাবে তিনি জীবিত আছেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم