প্রশ্ন
ইমাম সাহেবের সাথে রুকু, সেজদা ইত্যাদির তাকবীর বলা কি জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইমামের তাকবীরের সাথে মুসল্লীদের তাকবীর বলা জরুরি নয়, বরং সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ}، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ،
‘ইমাম এজন্যই নিযুক্ত হয়ে থাকে যাতে তার অনুসরণ করা হয়। অতএব যখন সে তাকবীর বলে তখন তোমরাও তাকবীর বলো এবং যখন সে কিরাআত পড়ে তখন তোমরা নীরব থাকো। আর যখন ওয়ালাদদোয়াল্লীন বলবে তখন তোমরা আমীন বলো। যখন সে রুকু করবে তখন তোমরাও রুকু করো। যখন সে সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলবে তখন তোমরা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ বলবে।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮৮৮৯]
তবে কেউ যদি এই তাকবীরগুলো না পড়ে তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, তাকবীরে তাহরীমা এর ব্যতিক্রম। তাকবীরে তাহরীমা সকলের বলতে হবে। যে না বলবে তার নামাজ হবে না।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৭৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم