প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় এক ব্যক্তির নাকে ইনফেকশন হয়েছে। যার ফলে তার নাক দিয়ে বিশ্রি দুর্গন্ধ বের হয়। সে জামাতে উপস্থিত হলে দুর্গন্ধের কারণে অন্যান্য মুসল্লীদের কষ্ট হয়। প্রশ্ন হল, উক্ত ব্যক্তির জন্য জামাতে উপস্থিত না হওয়ার সুযোগ আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জামাতের সাথে নামাজ পড়া প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের উপর অপরিহার্য। তবে ওযরের কারণে ছাড় রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ، عُذْرٌ»، قَالُوا: وَمَا الْعُذْرُ؟، قَالَ: خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ، لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى
‘ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামাআতে নামাজ আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) নামাজ কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? রাসূল (সা.) বললেন, ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫৫১]
প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুযায়ী যেহেতু উক্ত ব্যক্তির কারণে অন্যান্য মুসল্লীদের কষ্ট হচ্ছে তাই তা উক্ত ব্যক্তির জন্য ওযর হিসেবে গণ্য হবে। কাজেই উক্ত ব্যক্তির জন্য জামাতের সাথে নামাজ পড়া আর অপরিহার্যরূপে বাকি থাকবে না। বরং সে ঘরে পড়বে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّهُ قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدَ رِيحَ ثُومٍ. فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الصَّلَاةِ قَالَ: مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلَا يَقْرَبْنَا فِي مَسْجِدِنَا حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا
‘মুগীরা ইবনে শুবা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাসূল (সা.)-এর সাথে নামাজ পড়ছিলাম। তিনি রসুনের গন্ধ পেলেন। নামাজ শেষ করে বললেন, যে ব্যক্তি এই গাছ থেকে ভক্ষণ করবে সে যেন এর দুর্গন্ধ দূর হওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে না আসে।’ [শরহু মাআনীল আছার, হাদিস: ৬৮২৬]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم