প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু তার বিড়ালকে দিয়ে কুরআন মাজিদ ধরিয়ে ছবি তুলেছে ফেসবুকে তা দেওয়ার জন্য। আমি তাকে সেই ছবি ফেসবুকে দিতে নিষেধ করলে সে বলে, এতে কুরআন যে আল্লাহ তাআলার কিতাব তার প্রমাণ বহন করে। কারণ বিড়ালও এর মর্যাদা বুঝে। আমি জানতে চাচ্ছি, তার এ কাজটি কতটুকু শরিয়ত সম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআনের মর্যাদা বজায় রাখা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। এটিই তাকওয়ার পরিচায়ক। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
‘যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।’ [সূরা হজ্ব, আয়াত: ৩২]
কুরআন নাজিল হয়েছে মানবজাতি ও জীনজাতির জন্য। কাজেই কোনো প্রাণির কাছে কুরআন মাজিদ দেওয়া কুরআনের অসম্মান ছাড়া আর কিছুই নয়। কাজেই আপনার বন্ধুর এ কাজটি শরিয়ত সম্মত নয়। বরং এতে তার গুনাহ হয়েছে। এ জন্য তাকে তাওবা ও ইস্তেগফার করতে হবে।
সুতরাং ভবিষ্যতে কুরআনের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم