প্রশ্ন
রোজা কিভাবে আমাদেরকে অন্যায় অনাচার থেকে রক্ষা করতে পারে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানুষকে দু’ধরনের আখলাক বা চরিত্র দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। একটি হল, আখলাকে হামিদাহ বা সৎ গুণাবলি। আর আরেকটি হল, আখলাকে রাজিলা বা অসৎ গুণাবলি। আল্লাহ তাআলা চান, বান্দা তার অসৎ গুণাবলিগুলোকে দমন করে সৎ গুণাবলিগুলোকে বিজয়ী করবে। এর মাধ্যমেই সে আল্লাহ তাআলার একজন পরিপূর্ণ বান্দা হিসেবে গণ্য হতে পারবে।
সুতরাং বান্দা যেন সৎ গুণাবলিগুলো অর্জন করতে পারে এবং অসৎ গুণাবলিগুলো বর্জন করতে পারে, এজন্য মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মাহে রমজান দান করেছেন। দেখুন, স্ত্রী সহবাস, পানাহার আমাদের জন্য হালাল হলেও আল্লাহ তাআলা এই কাজগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের উপর হারাম করে দিয়েছেন। এর উদ্দেশ্য হল, আমাদেরকে ট্রেনিং দেওয়া, যেন আমরা এর মাধ্যমে হারাম কাজগুলোকে বর্জন করে সুন্দর ও স্বচ্ছ একটি জীবন গঠন করতে পারি। পাপাচার করতে করতে মানুষের অন্তরে মরিচিকা পড়ে যায়, হৃদয় কলুষিত হয়ে যায়। মানুষ যেন তার অন্তরকে রেক্টিফাই করে পরিশোধন করে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারে সে ট্রেনিংয়ই আল্লাহ তাআলা মানুষকে মাহে রমজানে দিয়ে থাকেন।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, আল্লাহর কাছে আমাদের সিয়াম গ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্ব শর্ত হল তা গুনাহমুক্ত হওয়া। হাদিস শরিফে এসেছে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ للهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ
‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০৩]
কাজেই আমরা যদি রোজা রেখে অপরাধ বর্জন করতে পারি তাহলেই একমাত্র এ রোজা আমাদের কাজে আসবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم