প্রশ্ন
তাকওয়ার মাপকাঠি কী? কেউ মুত্তাকী হয়েছে তা বুঝা যাবে কীভাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
তাকওয়ার স্থান হল অন্তর। একারণেই রাসূল (সা.) বলেছেন,
إِنَّ اللهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ، وَلَا إِلَى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ إِلَى صَدْرِهِ
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের শরীর ও বাহ্যিক আকৃতির প্রতি নজর করেন না বরং তিনি তোমাদের অন্তরের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। আর তিনি তাঁর আংগুলের দ্বারা নিজের বুকের দিকে ইশারা করেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৬৪]
সুতরাং অন্তর থেকে খাঁটি ব্যক্তি হতে হবে। অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে তাঁর নির্দেশ পালন ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। হারামের কাছেও যাওয়া যাবে না। এমনকি সন্দেহজনক বিষয় থেকেও বেঁচে থাকতে হবে। এমন জীবন যদি কেউ গঠন করতে পারে তাহলেই সে প্রকৃত মুত্তাকী বলে গণ্য হবে। কিন্তু কেউ যদি শুধু বাহ্যিক অবস্থা ভালো করে। অন্তর পরিশুদ্ধ না করে। তাহলে এটি হবে প্রদর্শনীর মত। যেটিকে শরিয়তে রিয়া ও ছোট শিরক বলা হয়েছে। এটি মুনাফিকের আলামত। বরং একজন মুমিন সে নিজের ভিতর-বাহির উভয় অবস্থাকে সংশোধন করে নিবে। এই তাকওয়া যে অর্জন করতে পারবে সেই আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم