প্রশ্ন
যদি শরিয়তের কোনো মাসআলায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও ইমাম শাফেয়ী (রহ.) এর মতবিরোধ দেখা যায় তাহলে একজন মুসলমানের স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে কার মত গ্রহণ করা উচিৎ? যেমন বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত ও কুনুতে নাজেলা পড়া। এক্ষেত্রে কোনটি গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইখতেলাফের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি মনে রাখতে হবে যে, ফুকাহায়ে কেরাম শরিয়তের কোনো মৌলিক বিষয়ে মতানৈক্য করেননি। যেমন নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ। কোনো ফুকাহায়ে কেরাম এক্ষেত্রে বলেননি যে চার ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। বরং যে সকল বিষয়ে শরিয়ত উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে সে সকল বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মতানৈক্য লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে তাবেয়ী সুফিয়ান সাওরী (রহ.) এর একটি উক্তি উল্লেখ না করলেই নয়। তিনি বলেন,
إذا رأيت الرجل يعمل العمل الذي قد اختلف فيه، وأنت ترى غيره، فلا تَنْهَهُ
‘যখন তুমি কোনো ব্যক্তিকে এমন কাজ করতে দেখ যে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের মতভেদ রয়েছে, অথচ তুমি এর বিপরীত মত পোষণ কর, তাহলে তাকে তুমি তা করতে বাধা দিয়ো না।’ [হিলয়াতুল আওলিয়া, ৬/৩৬৭]
সুতরাং সে সকল বিষয়ে শরিয়ত উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে সে সকল বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম মতভেদ করেছেন। তাই এ সকল ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, অন্য ব্যক্তি যা করছে আপনি তাকে তা করতে দিন। আর আপনারটি আপনি করতে থাকুন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم