প্রশ্ন
আমাদের মসজিদে একবার ঈদের নামাজ পড়াতে গিয়ে ইমাম সাহেব আস্তে কেরাত পড়েছিলেন। এবং নামাজ শেষে সাহু সেজদা দিয়েছিলেন। এতে কি নামাজর কোন সমস্যা হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ঈদের নামাজেরর কেরাত জোরে পড়তে হয়। হাদিস শরিফে এসেছে-
عن أبي واقد الليثي قال سألني عمر بن الخطاب عما قرأ به رسول الله صلى الله عليه و سلم في يوم العيد ؟ فقلت باقتربت الساعة وق والقرآن المجيد
‘আবু ওয়াকিদ লাইসি (রা.) বলেন: উমর (রা.) আমাকে জিজ্ঞাসা করেন: রাসূল (সা.) ঈদের দিন নামাজে কেন সূরা পড়েছেন? আমি বললাম: তিনি সূরা ক্বামার, ক্বাফ পড়েছেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৯১]
এই হাদিস থেকে বুঝা যায় রাসূল (সা.) জোরেই কেরাত পড়তেন। তাই আস্তে কেরাত পড়ার কারণে ইমাম সাহেবের উপর সেজদায়ে সাহু অপরিহার্য হয়েছিল। আর তিনি তা আদায় করে সঠিক কাজই করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم