প্রশ্ন
আজকে ভোর রাতে আমি সাহরি খেতে পারিনি। এখন আমি কী করব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সাহরি খাওয়া সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً
‘তোমরা সাহরি খাও। কেননা সাহরিতে বরকত রয়েছে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯২৩]
তবে সাহরি খেতে না পারলেও রোজার কোন ক্ষতি হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ أَنْ أَذِّنْ فِي النَّاسِ أَنَّ مَنْ كَانَ أَكَلَ فَلْيَصُمْ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ أَكَلَ فَلْيَصُمْ فَإِنَّ الْيَوْمَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ
সালামা ইবনে আকওয়া (রা.) বলেন: (যখন আশুরার রোজা ফরজ ছিল তখন) রাসূল (সা.) গোত্রের এক ব্যক্তিকে ঘোষণা করতে বললেন: ‘যে সকাল থেকে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোজা রাখবে। আর যে খেয়েছে সেও বাকি দিন রোজা রাখবে। কারণ, আজ আশুরার দিন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০০৭]
উমর ইবনে আবদুল আজীজ (রহ.) এর যামানায় কিছু লোক সকালে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিল। তখন উমর ইবনে আবদুল আজীজ (রহ.) বললেন: যে ব্যক্তি ইতিমধ্যে কিছু খেয়েছে সে বাকি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকবে। আর যে কিছু খায়নি সে বাকি দিন রোজা রাখবে। [মুহাল্লা ৪/২৯৩]
তাই আপনি এখন রোজার নিয়তে সারাদিন খানাপিনা ও সহবাস থেকে বিরত থাকলেই আপনার রোজা হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم