প্রশ্ন
আমরা জানি, নবীগণ মাসুম (নিষ্পাপ) হয়ে থাকেন। তাহলে মূসা (আ.) একজন মানুষকে কোনো অপরাধ করা ছাড়াই কিভাবে হত্যা করলেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হলেন নবীগণ। তাঁরা যাবতীয় কবীরা গুনাহ থেকে মুক্ত। চাই তা নবুওতের আগে হোক কিংবা পরে। আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে কবীরা গুনাহ থেকে মুক্ত রেখেছেন। কিন্তু অধিকাংশ আলেমদের মতে তাঁরা সগীরা গুনাহ থেকে মুক্ত নন।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন,
‘নবীগণ কবীরা গুনাহ থেকে মাসুম (নিষ্পাপ); সগীরা গুনাহ থেকে নয়- এটি অধিকাংশ আলেম ও অধিকাংশ দলগুলোর অভিমত…। এটি অধিকাংশ তাফসিরবিদ, হাদিসবিদ, ফিকাহবিদেরও অভিমত। বরং সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী, সলফে সালেহিন ও ইমামদের কাছ থেকে যে সব বক্তব্য এসেছে সেগুলো এ অভিমতের অনুকূলে।’ [মাজমুউল ফাতাওয়া গ্রন্থে ৪/৩১৯]
তবে তাঁদের থেকে যদি কখনো কোনো সগীরা গুনাহ প্রকাশ পেয়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক তাঁরা তওবা করে নেন এবং আল্লাহ তাঁদের ক্ষমাও করে দেন।
মূসা (আ.) এর সেই কিবতীকে হত্যা করা ছিল সগীরা গুনাহ। কারণ তিনি ইচ্ছাকৃত তাকে হত্যা করেননি, বরং বনী ইসরাইলের মজলুম লোকটিকে সাহায্য করার জন্য এমনটি হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবেই তিনি আল্লাহর কাছে তওবা করে নেন।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
قالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ
‘সে বলল: হে আমার রব, আমি আমার নিজের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছি। অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা কর। তখন তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন।’ [সূরা কাসাস, আয়াত: ১৬]
তাই এটি তাঁর নবুওতের জন্য দোষণীয় নয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم