প্রশ্ন
আমার চাচা সুদী লেনদেনের সাথে জড়িত। তিনি আমাকে একটি বস্তু হাদিয়া দিয়েছেন। চক্ষু লজ্জার কারণে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাতে পারিনি। এখন আমার প্রশ্ন হলো, এই বস্তুটি আমি কি করব? এটি ব্যবহার করা আমার জন্য বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আপনি যদি জানতে পারেন যে, আপনার চাচা হাদিয়াটি তার হালাল মাল থেকে দিয়েছেন, তাহলে তা গ্রহণ ও ব্যবহার আপনার জন্য বৈধ হবে। কিন্তু যদি জানতে পারেন, তা হারাম মাল থেকে দেওয়া হয়েছে, তাহলে তা গ্রহণ ও ব্যবহার করা আপনার জন্য বৈধ হবে না।
আর যদি না জানতে পারেন যে, কোন মাল থেকে দিয়েছে, তাহলে আপনার চাচার অধিকাংশ সম্পদের অবস্থা হিসেবে হাদিয়ার বিষয়টির হালাল-হারাম নির্ধারিত হবে। যদি অধিকাংশ সম্পদ হালাল হয়ে থাকে তাহলে তা গ্রহণ করতে সমস্যা নেই। আর যদি অধিকাংশ সম্পদ হারাম হয় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
যদি হাদিয়াটি হারাম মাল থেকে হয়ে থাকে এবং আপনি যেহেতু তা গ্রহণও করেছেন, তাই এখন আপনার করণীয় হলো, সেই বস্তুটি যারা যাকাত গ্রহণের হকদার তাদের মাঝে সদকা করে দিবেন। আর যাকাতের খাত ৮ শ্রেণির লোক।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ
অর্থ: ‘নিশ্চয়ই ছাদাক্বাহ্ (যাকাত) হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য। (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে।’ [সূরা তাওবা, আয়াত: ৬০]
তবে যদি হালাল মাল থেকে হয়ে থাকে তাহলে আপনি কোনো সংকোচ ছাড়াই তা ব্যবহার করতে পারবেন।
রদ্দুল মুহতার ৫/৯৮; আল আশবাহ ওয়ান নাযাইর ৪/৫০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم