প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু সুদী ব্যাংকে চাকরী করে। পাশাপাশি তার হালাল উপার্জনও রয়েছে। সে মাঝে মাঝে আমাকে হাদিয়া দেয়। আমার প্রশ্ন হলো, তার এই হাদিয়া গ্রহণ করতে কি কোনো সমস্যা আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হারাম উপার্জনকারীর যদি হালাল-হারাম উভয় ধরনের সম্পদ থাকে এবং সে তার হারাম সম্পদ থেকে হাদিয়া দিয়ে থাকে তাহলে তা গ্রহণ করাও হারাম। আর যদি হালাল সম্পদ থেকে হাদিয়া দিয়ে থাকে তাহলে তা গ্রহণ করাও হালাল হবে।
তবে কোন সম্পদ থেকে দিয়েছে তা যদি জানা সম্ভব না হয়, তাহলে দেখতে হবে তার অধিকাংশ সম্পদ হালাল না হারাম। যদি অধিকাংশ সম্পদ হালাল হয়, তাহলে হাদিয়া গ্রহণ করা বৈধ। আর যদি অধিকাংশ সম্পদ হারাম হয়, তাহলে হাদিয়া গ্রহণ করা বৈধ হবে না।
উল্লেখ্য, যে সকল ক্ষেত্রে কিছুই জানা যাবে না, সে সকল ক্ষেত্রে হাদিয়া গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার মাঝেই সতর্কতা রয়েছে।
কারণ হাদিস শরিফে এসেছে,
إن الحلال بين، وإن الحرام بين، وبينهما مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس، فمن اتقى الشبهات استبرأ لدينه، وعرضه، ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام
‘রাসূল (সা.) বলেছেন: হালাল বা বৈধ সুস্পষ্ট এবং হারাম বা অবৈধও সুস্পষ্ট আর এদুয়ের মধ্যবর্তী বিষয়গুলো হলো সন্দেহ জনক। আর বেশীর ভাগ লোকই সেগুলো (সম্পর্কে সঠিক পরিচয়) জানেনা। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সন্দেহজনক জিনিসিগুলোকে পরিহার করলো সে তার দ্বীন ও মান-সম্মানকে পবিত্র রাখলো। আর যে ব্যক্তি সন্দেহ জনক জিনিসে জড়িয়ে পড়লো সে হারামের মধ্যে পড়ে গেল।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৫৯৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৩২৯]
ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪০০; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৭৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم