প্রশ্ন
রমজানের ইতিকাফরত অবস্থায় কারো যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মসজিদের পবিত্রতা ও আদব রক্ষা করা আবশ্যক। মসজিদের অন্যতম আদব হলো, কোনো অপবিত্র ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না।
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَعَهِدْنَا إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
‘এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ১২৫]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা মসজিদে রাসূল (সা.) এর সাথে বসেছিলাম। ইতিমধ্যে এক বেদুঈন এল। সে দাঁড়িয়ে মসজিদেই পেশাব করতে লাগল। তখন রাসূল (সা.) এর সাহাবীগণ বলতে লাগল, থাম, থাম। রাবী বলেন, তখন রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা ওকে বাধা দিও না, ছেড়ে দাও ওকে। অতঃপর তাঁরা তাকে ছেড়ে দিল, সে পেশাব করা শেষ করল। তারপর রাসূল (সা.) তাকে ডেকে বললেন, দেখ এই যে মসজিদগুলো এতে পেশাব করা বা একে কোনো রকম নাপাক করা উচিৎ নয়। এ সব তো কেবল আল্লাহর যিকির করা, নামাজ আদায় করা এবং কুরআন তিলাওয়াত করার জন্য।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৫৪]
ইতিকাফরত অবস্থায় কারো যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে সে তায়াম্মুম করে মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে আসবে। আর যদি তায়াম্মুম করার মত কোনো কিছু না পায় তাহলে দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে গোসল করে আসবে।
রদ্দুল মুহতার ১/৪১০; হাশিয়াতুত তাহতায়ি আলা মারাকিল ফালাহ পৃ. ১৪৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم