প্রশ্ন
কিছু লোক আমাদের এলাকার একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে লাইব্রেরি নির্মাণ করতে চাচ্ছে। কোর্ট থেকে তারা অনুমতিও নিয়ে এসেছে। মসজিদটি যেন না ভাঙ্গা হয় সেজন্য আমরা এক উকিলের সাথে কথা বলি। তিনি কোর্ট বরাবর একটি দাবীনামা লিখে দেন। যাতে কিছু মিথ্যা পয়েন্টও উল্লেখ করা হয়। আমার জানার বিষয় হলো, মসজিদ রক্ষার জন্য মিথ্যা বলা বৈধ হবে কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মিথ্যা বলা নাজায়েয। কুরআন-হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং, মসজিদ রক্ষা করার সৎ উদ্দেশ্য থাকলেও এ জন্য মিথ্যা বলা বৈধ হবে না।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,
ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
‘তারপর প্রার্থনা করি যে,মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬১]
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
‘আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি:
১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে।
২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে।
৩. আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস:৫৯]
রদ্দুল মুহতার ৬/৪২৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم