প্রশ্ন
এক লোক আমার বোনকে নিয়ে সবসময় বাজে মন্তব্য করে। মাঝে মাঝে আমার মন চায় তাকে খুন করে ফেলি। আমি যদি কখনো রাগের মাথায় তাকে খুন করে ফেলি তাহলে কি এতে আমার কোনো গুনাহ হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রিয় ভাই, ইসলাম কখনো এক অপরাধের কারণ আরেকটি অপরাধকে বৈধতা দেয় না।
কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোনো সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮]
রাসূল (সা.) বলেন-
لا يحل دم امرئ مسلم إلا بإحدى ثلاث : زنى بعد إحصان ، أو ارتداد بعد إسلام ، أو قتل انفس بغير حق ، فقتل به
‘তিনটি কারণ ব্যতিত কোনো মুসলমানের রক্ত বৈধ নয়।
১. বিবাহিত ব্যভিচারী
২. এক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে গেছে।
৩. সে অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করেছে। ফলে তাকেও হত্যা করা হবে।’[ সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২২৪৭]
যদিও আপনার বোনের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে কিন্তু এর শাস্তি কখনো হত্যা নয়। তাছাড়া শাস্তি দেওয়ার অধিকার হলো আদালতের।
তাই আপনার জন্য উচিৎ হলো আপনি আপনার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কিংবা আইনের আশ্রয় নেন।
অন্যথায় এক অপরাধ দমন করতে গিয়ে আরেক অপরাধের জন্ম হবে। এবং আপনার জীবনটিও নষ্ট হবে। আল্লাহ আপনাকে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم