প্রশ্ন
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধের ফযিলতের কথা শুনেছি। আমি জানতে চাচ্ছি যে, কেউ যদি সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ না করে তাহলে কী ক্ষতি হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সাধ্যানুযায়ী সৎকাজের আদেশ করা এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি। কেউ যদি উক্ত দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে সে ফরজ দায়িত্ব লঙ্ঘনের অপরাধে অপরাধী হবে। কোনো জাতি যদি এই দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে সে জাতির ধ্বংস অনিবার্য।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন-
کُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ تَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ ؕ وَ لَوۡ اٰمَنَ اَہۡلُ الۡکِتٰبِ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ ؕ مِنۡہُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ اَکۡثَرُہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ
‘তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত,যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করবে। আর যদি আহলে কিতাব ঈমান আনত, তবে অবশ্যই তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত। তাদের কতক ঈমানদার। তবে অধিকাংশই ফাসিক।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০]
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُونَهُ فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُمْ
‘হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.) বলেছেন: যাঁর হাতে আমার প্রাণ সে সত্তার কসম, তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ করতে থাক। নতুবা অচিরেই আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর তাঁর আযাব নিপতিত করবেন। তখন তোমরা তাঁর নিকট দোয়া করবে কিন্তু তিনি তোমাদের দোয়া কবুল করবেন না।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২১৭২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم