প্রশ্ন
আমার দূর সম্পর্কের এক বোন এক খ্রিস্টান ছেলেকে পছন্দ করে। সে তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে। ইসলাম কি এই জাতীয় বিয়ে সমর্থন করে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক একজন মুসলিম পুরুষ আহলে কিতাবি নারীকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু কোনো মুসলিম নারীকে কোনো আহলে কিতাব পুরুষ বিয়ে করতে পারবে না।
কারণ, নারীরা স্বামীদের তত্ত্বাবধানে থাকে। তাই কোনো মুসলিম পুরুষ কোনো আহলে কিতাব নারীকে বিয়ে করলে স্বামীর ধর্মীয় জীবনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভবনা কম। বরং এক্ষেত্রে নারী নিজেই ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।
অপরদিকে কোনো মুসলিম নারীকে কোনো আহলে কিতাব বিয়ে করলে এটি নারীর ধর্মীয় জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ জাতীয় বিবাহ ইসলামে বৈধ নয়।
তাছাড়া বর্তমানে কোনো সত্যিকার আহলে কিতাব খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
وَ لَا تُنۡکِحُوا الۡمُشۡرِکِیۡنَ حَتّٰییُؤۡمِنُوۡا ؕ وَ لَعَبۡدٌ مُّؤۡمِنٌ خَیۡرٌ مِّنۡ مُّشۡرِکٍ وَّ لَوۡ اَعۡجَبَکُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ یَدۡعُوۡنَ اِلَی النَّارِ ۚۖ وَ اللّٰہُ یَدۡعُوۡۤا اِلَی الۡجَنَّۃِ وَ الۡمَغۡفِرَۃِ بِاِذۡنِہٖ ۚ وَ یُبَیِّنُ اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَتَذَکَّرُوۡنَ
‘আর মুশরিক পুরুষদের সাথে (কোনো মুসলিম নারীকে) বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২২১]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
فَاِنۡ عَلِمۡتُمُوۡہُنَّ مُؤۡمِنٰتٍ فَلَا تَرۡجِعُوۡہُنَّ اِلَی الۡکُفَّارِ ؕ لَا ہُنَّ حِلٌّ لَّہُمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحِلُّوۡنَ لَہُنَّ
‘অতঃপর যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন মহিলা, তাহলে তাদেরকে আর কাফেরদের নিকট ফেরত পাঠিও না। তারা কাফিরদের জন্য বৈধ নয় এবং কাফিররাও তাদের জন্য হালাল নয়।’ [সূরা মুমতাহিনা, আয়াত: ১০]
মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৬/৪৩; কানযুল উম্মাল: ১৬/৫৪৮; আলমাওসুআতুল ফিকহিয়্যা আলকুয়েতিয়্যাহ : ৩৫/২৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم