প্রশ্ন
আমার দাদার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার বাবা খাবারের আয়োজন করে সবাইকে খাওয়াতে চাচ্ছে। তাঁর এ কাজ কি শরিয়ত সম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা বৈধ নয়। কারণ, এটা হিন্দুয়ানি রীতি। তাই মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খাবারের আয়োজনও করা যাবে না। এসব করাতে যদি কোনো কল্যাণ থাকত, তাহলে রাসূল (সা.), সাহাবায়ে কেরামসহ তাঁদের পরবর্তীরা তা করে যেতেন। কিন্তু খাইরুল কুরুনে এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তাই একজন মুসলমান হিসেবে এসকল হিন্দুয়ানি রীতি থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন-
ﻭَﺗَﻌﺎﻭَﻧﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺒِﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘﻮﻯٰ ۖ ﻭَﻻ ﺗَﻌﺎﻭَﻧﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛﻢِ ﻭَﺍﻟﻌُﺪﻭٰﻥِ ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ۖ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺷَﺪﻳﺪُ ﺍﻟﻌِﻘﺎﺏِ
‘সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা কঠোর শাস্তিদাতা।’ [সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ২]
রাসূল (সা.) বলেছেন,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
‘যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৬৯৭; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭১৮]
অন্য হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
‘ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
তবে মৃত্যুবার্ষিকি পালন না করে এমনিতে ঈসালে সওয়াবের জন্য দরিদ্রদের জন্য খাবারের আয়োজন করাতে কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم