প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক লোক একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। এখন আমার জানার বিষয় হল, নির্বাচনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
গণতন্ত্র ইসলাম সমর্থন করে না। গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রই হল, ‘সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ’ যা স্পষ্ট ইসলামি আকিদা বিরোধী। কারণ, সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র আল্লাহ তাআলা।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন,
إِنِ الْحُكْمُ إِلاَّ لِلّهِ
‘কর্তৃত্বতো আল্লাহরই।’ [সূরা আনআম, আয়াত: ৫৭]
তবে বর্তমানে এই পদ্ধতি যেহেতু সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আর একদিনেই যেহেতু এই পদ্ধতির পরিবর্তন সম্ভব না আবার ইসলাম বিদ্বেষী কোনো লোক যদি ক্ষমতায় চলে আসে তাহলে ইসলাম ও মুসলমানের বিপুল ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। এক্ষেত্রে ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণে কাজ করাটাই হবে ঈমানের দাবী। কারণ, রাসূল (সা.) বলেছেন,
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: مَنْ أُذِلَّ عِنْدَهُ مُؤْمِنٌ فَلَمْ يَنْصُرْهُ، وَهُوَ يقَدِرُ عَلَى أَنْ يَنْصُرَهُ أَذَلَّهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির সামনে কোন মুমিনকে অপমান করা হয়, অথচ তাকে সহায়তা করার ক্ষমতা উক্ত ব্যক্তির থাকা সত্বেও সে তাকে যদি সাহায্য না করে, তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে সবার সামনে লাঞ্ছিত করবেন।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৫৯৮৫, আলমুজামুল কাবীর লিততাবারানী, হাদিস: ৫৫৫৪]
তাই, ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থে নির্বাচনে দাঁড়ানো জায়েয আছে। তবে শর্ত হল, কাজ করার যোগ্যতা ও সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে কোনো ক্রমেই নির্বাচনে দাঁড়ানো বৈধ হবে না। সাথে সাথে এ পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে শরয়ী পন্থায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যেতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم