প্রশ্ন
আমি একটি কসম করেছিলাম, পরবর্তীতে তা ভঙ্গ হয়ে যায়। বিষয়টি একজন আলেমকে জানালে তিনি কসমের কাফফারা হিসেবে দশজন মিসকীনকে দু’বেলা পেটপুরে আহার করানোর পরামর্শ দেন। সুতরাং আমি এলাকার একজন প্রবীণ মিসকীনকে দু’বেলা খাবারের জন্য তিনিসহ দশজন মিসকীন দাওয়াত দিতে বলি। রাতে খাবার পেশ করা হলে তাদের সাথে থাকা ৬/৭ বৎসরের একটি ছেলে অল্পকিছু খাবার খায়। দুপুরেও ছেলেটি তাদের সাথে ছিল। যেহেতু ছেলেটি তাদের দশজনের একজন তাই তার কম খাওয়ার কারণে আমার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এখন হুজুরের কাছে জানতে চাচ্ছি যে, বাচ্চাটির কম খাওয়ার কারণে কাফফারা আদায়ে কোনো সমস্যা হয়েছে কি? সমস্যা হয়ে থাকলে এখন আমার করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
কাফফারা আদায়ের জন্য পূর্ণ খাবার খেতে পারে এমন পরিণত বয়সের লোকদের খাওয়ানো জরুরি। ৬/৭ বছরের বাচ্চারা সাধারণত পূর্ণ খাবার খেতে পারে না। তাই তাদেরকে খাওয়ানোর দ্বারা কাফফারা আদায় হবে না। সুতরাং ঐ শিশু বাচ্চার বদলে প্রাপ্তবয়স্ক একজন মিসকীনকে দু’বেলা তৃপ্তি সহকারে আহার করাতে হবে। আর ৯ জনের আহার কাফফারা হিসাবেই আদায় হয়েছে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৮; বাদায়েউস সনায়ে ৪২৬২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৭৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم