প্রশ্ন
আমরা একটি ইসলামী ব্যাংকের সাথে এভাবে চুক্তি করি যে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে আড়াই লক্ষ টাকার মেশিন কিনে দিবে। আর আমরা ব্যাংককে দুইলক্ষ আশি হাজার টাকা দিব। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরাসরি আমাদেরকে মেশিন দামদর করে কিনে দেয়নি। বরং আমরাই মেশিন বিক্রেতার সাথে দামদর করেছি। আর ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা আমাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা যখন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে মেশিন বিক্রেতার কাছে যাই তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে একজন লোক আমাদের সাথে গিয়েছিল। মেশিন বিক্রেতার কাছে যাওয়ার পর ব্যাংক থেকে যে লোকটি আমাদের সাথে গিয়েছিল আমরা তার হাতে টাকা দেই আর তিনি মেশিন বিক্রেতাকে টাকা দেন। কিন্তু তিনি মেশিন বুঝে নিয়ে তা আমাদের হস্তান্তর করেননি। এখন আমরা জানতে চাচ্ছি, এভাবে লেনদেন করা বৈধ হয়েছে কি? বৈধ না হয়ে থাকলে এখন আমাদের কারণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ব্যাংকের সাথে আপনাদের লেনদেনটি বৈধ পন্থায় হয়নি। কেননা উক্ত লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের জন্য আবশ্যক ছিল উক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে মেশিনটি ক্রয়ের পর দখল বুঝে নেয়া, এরপর ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্যে তা আপনাদের নিকট বিক্রি করা। কিন্তু প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং ব্যাংক প্রতিনিধি শুধু মূল্য পরিশোধ করেছে। পণ্যের দখল বুঝে নিয়ে আপনাদেরকে তা হস্তান্তর করেনি। তাই আপনাদের কাছে মেশিনটি বিক্রি করা সহিহ হয়নি।
এখন ব্যাংকের করণীয় হল, নিজ প্রতিনিধির মাধ্যমে উক্ত মেশিনের দখল বুঝে নিয়ে পুনরায় আপনাদের কাছে বিক্রি করা। তখন আপনারা নিয়ম অনুযায়ী এর মালিক হবেন। আর ইতিমধ্যে মেশিনটির মূল্যের নামে কোনো টাকা পরিশোধ করে থাকলে তা সমন্বয় করে নিতে পারবেন।
-জামে তিরমিযী, হাদিস: ১২৩৪; আলমাআয়ীরুশ শরইয়্যা পৃ. ১২১, ১২৩; আলমাবসূত, সারাখসী ১৩/৮২; মাজাল্লাতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী, সংখ্যা ৫, ২/১৫৩৯, ১৫৯৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم