প্রশ্ন
আমার বড় চাচা বার্ধক্যে কাবু হওয়ার পর থেকে নফল নামাযের বেলায় প্রায়ই এমন করেন যে, কখনো দাঁড়িয়ে নামায শুরু করার পর বাকিটা বসে আদায় করেন। আবার কখনো এর উল্টো। অর্থাৎ প্রথমে বসে আরম্ভ করার পর বাকিটা দাঁড়িয়ে। তাঁর এভাবে নফল পড়া কি ঠিক আছে? জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
এভাবে নফল পড়তে অসুবিধা নেই।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা). থেকে বর্ণিত আছে-
أَنّهَا لَمْ تَرَ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يُصَلِّي صَلاَةَ اللّيْلِ قَاعِدًا قَطّ حَتّى أَسَنّ، فَكَانَ يَقْرَأُ قَاعِدًا، حَتّى إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ، فَقَرَأَ نَحْوًا مِنْ ثَلاَثِينَ آيَةً -أَوْ أَرْبَعِينَ آيَةً- ثُمّ رَكَعَ.
রাসূলুল্লাহ (সা.) বার্ধক্যে উপনীত হওয়া পর্যন্ত তিনি কখনো তাঁকে ‘সালাতুল লাইল’ (রাতের নফল নামায) বসে আদায় করতে দেখেননি। বার্ধক্যে পৌঁছার পর তিনি (নফল নামাযে) বসে কেরাত পাঠ করতেন, আর রুকুতে যাওয়ার সময় হলে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং ত্রিশ অথবা চল্লিশ আয়াত তিলাওয়াত করে রুকুতে যেতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১১১৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৩১)
প্রকাশ থাকে যে, বিনা ওজরে বসে নফল নামায পড়লে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার অর্ধেক সওয়াব পাওয়া যায়। অবশ্য বার্ধক্যের কারণে অথবা দুর্বলতা বা অসুস্থতার কারণে হলে পূর্ণ সওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৯১; আলমাবসূত, সারাখসী ১/২০৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৬; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/৯৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم