প্রশ্ন
আমার মামার দুই ছেলে। বড় ছেলে বিদেশে থাকে। ছোট ছেলে অনেক দিন থেকেই বাড়িতে মা-বাবার খেদমতে আছে। মামা তার ছোট ছেলের নামে কিছু জমি কেনেন এবং বিষয়টি তাকে জানান যে, আমি তোমার নামে কিছু জমি কিনেছি। পরিবারের অন্যান্যরাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। কিন্তু জমিটা কোথায়- সেটা তাকে জানাননি। কিছুদিন পর তার ইন্তেকাল হয়। তার ইন্তেকালের পর বিদেশে অবস্থানরত বড় ছেলে এ জমিটিকেও মীরাসী সম্পদ হিসাবে ধরতে চায়। কিন্তু সরকারি ও অন্যান্য জরুরি কাগজ-পত্রে ছোট ছেলের নামেই জমিটি রেজিস্ট্রি করা। দেশীয় আইন অনুযায়ী এ জমির মালিক তো ছোট ছেলে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এর মালিক কে? এটাকে কি মরহুম মামার মীরাসী সম্পদ হিসাবে গণ্য করা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু মামা জমিটি ছোট ছেলের নামে কিনেছেন এবং জীবদ্দশায়ই তার নামে রেজিস্ট্রিও করে দিয়েছেন তাই ছোট ছেলেই এ জমির মালিক।
প্রকাশ থাকে যে, কাউকে কিছু দান করলে এর উপর গ্রহীতার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য দানকৃত বস্তুটি কবজা তথা বুঝে পাওয়া জরুরি। বর্তমানে জমি ফ্ল্যাট বা এজাতীয় স্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে মৌখিকভাবে দান করার পর সরকারিভাবে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার দ্বারা জমিটির উপর গ্রহীতার কবজা সাব্যস্ত হয়ে যায়। অতএব উপরোক্ত জমিটি মীরাসী সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে না; বরং আপনার মামার ছোট ছেলেই জমিটির একক মালিক। বড় ছেলের জন্য জমিটিকে মীরাসী সম্পদের মধ্যে শামিল করা জায়েয হবে না। এ জমিটি বাদ দিয়ে অন্যান্য মীরাসী সম্পত্তি ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করতে হবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৯/১৭০; আলমাবসূত, সারাখসী ১২/৪৮; মাজমাউল আনহুর ৪/৪৯১; দুরারুল হুক্কাম ২/৪১৩; আলমাদখালুল ফিকহী আলআম ১/২৭৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم