প্রশ্ন
গত বছর রমযানে প্রায় এক সপ্তাহ সফরে ছিলাম। সফরের কিছুদিন রোযা রাখতে পারিনি। মুহাররাম মাসে তা কাযা করতে শুরু করি। কতদিন রোযা রাখিনি- নিশ্চিতভাবে এ সংখ্যাটি মনে ছিল না। চারদিন রোযা রাখার পর পঞ্চম দিন রোযা রাখা অবস্থায় ঘটনাক্রমে এক সাথীর সাথে দেখা হয় যে ঐ সফরে আমাদের সাথে ছিল। সে আমাকে জানালো যে, আমরা কেবল তিন দিন রোযা রাখিনি। অবশিষ্ট দিনগুলোতে নিশ্চিতভাবেই রোযা রেখেছি। বিষয়টি জানার পর আমি পঞ্চম দিনের রোযাটি ভেঙে ফেলি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম যে, রোযা শুরু করার পর তা পূর্ণ করা জরুরি। শুরু করার পর ভেঙে ফেললে এর কাযা করতে হবে। জানার বিষয় হল, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও কি আমাকে এ রোযার কাযা করতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
না, আপনাকে উক্ত রোযার কাযা করতে হবে না। তবে নফলের নিয়তে রোযা শুরু করার পর তা ভেঙে ফেললে এর কাযা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। কেননা কাযা বা মান্নতের রোযার নিয়তে রোযা শুরু করার পর যদি জানতে পারে যে, তার যিম্মায় উক্ত রোযা নেই, অতঃপর সে তা ভেঙে ফেলে তাহলে এর কাযা আদায় করা তার জন্য জরুরি নয়। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু ওয়াজিব রোযার নিয়ত করেছেন তাই তা ভেঙে ফেলার কারণে এর কাযা করতে হবে না। তবে এক্ষেত্রেও রোযা না ভেঙে তা পূর্ণ করাই উত্তম। এর দ্বারা নফল রোযার সওয়াব হবে।
-কিতাবুল আছল ২/১৬৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৭; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৮২; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৩১; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ. ৩৭৭; জামেউর রুমূয ১/২৫৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم