প্রশ্ন
আমার মেয়ে এ বছর হিফয শেষ করেছে। আমরা কয়েকজন মহিলা মিলে নিয়ত করেছি, আমার মেয়ের পেছনে খতম তারাবীহ পড়ব। যাতে ওর হিফ্জ মজবুত হয়ে যায় এবং আমাদেরও খতম হয়ে যায়। কিন্তু আমার এক ভাশুর বলেছেন, মহিলাদের পেছনে তারাবীহ পড়া যায় না। এ বিষয়ে সঠিক মাসআলাটি জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
মহিলার ইমামতি মাকরূহে তাহরীমী তথা নাজায়েয। তারাবীর নামাযের জামাতেরও একই হুকুম। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বার এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত আলী (রা.) বলেন-
لاَ تَؤُمّ الْمَرْأَةُ.
কোনো মহিলা যেন ইমামতি না করে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা: ৪৯৯৪)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে ইবনে আউন (রাহ.) বলেন-
كَتَبْتُ إلَى نَافِعٍ أَسْأَلُهُ، أَتَؤُمّ الْمَرْأَةُ النِّسَاءَ؟ فَقَالَ : لاَ أَعْلَمُ الْمَرْأَةَ تَؤُمّ النِّسَاءَ.
আমি নাফে (রাহ.)-কে পত্রলিখে জিজ্ঞেস করলাম- কোনো মহিলা কি অন্য মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে? (উত্তরে) নাফে (রাহ.) বললেন, ‘আমার জানামতে কোনো মহিলা অন্য মহিলাদের ইমামতি করতে পারবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, বর্ণনা: ৪৯৯৫)
তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার মেয়ের ইমামতিতে ঐ তারাবীহের জামাতের আয়োজন করা ঠিক হবে না। প্রকাশ থাকে যে, হাফেযা মহিলা কুরআনুল কারীম ইয়াদ রাখার জন্য নিয়মিত তিলাওয়াত করবে, অন্য হাফেযার সাথে দাওর করবে এবং তারাবীতে একাকী খতম করবে।
-কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ২১৭; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৮৭; ফাতহুল কাদীর ১/৩০৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩৪৮; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫১; আলইখতিয়ার ১/২১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৬৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم