প্রশ্ন
আমি কয়েকদিন খুব অসুস্থ ছিলাম। তাই ডাক্তার আমাকে পানি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিল। তখন আমি তায়াম্মুম করে নামায আদায় করতাম। এর মধ্যে একদিন আমার গোসল ফরয হয়। যেহেতু আমার পানি ব্যবহার করা নিষেধ তাই তায়াম্মুম করেই নামায আদায় করি। এখন আমি সুস্থ হয়ে গেছি। আমি জানতে চাচ্ছি, এখন আমি কি করব? আমি কি শুধু ওযু করেই নামায পড়তে পারব নাকি ঐ ফরয গোসল করতে হবে? সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
আপনি যতদিন গোসল করতে সক্ষম ছিলেন না, ঐ পর্যন্ত ফরয গোসলের পরিবর্তে আপনার জন্য তায়াম্মুম যথেষ্ট ছিল। কিন্তু গোসল করার মত সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর আপনার তায়াম্মুম দ্বারা অর্জিত পবিত্রতা বাতিল হয়ে গেছে। এরপর শুধু অযু করলে হবে না; বরং প্রথমে আপনাকে ফরয গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। অবশ্য তায়াম্মুম দ্বারা পূর্বে আদায়কৃত সকল ইবাদত যথাযথভাবেই আদায় হয়েছে। সেগুলো পুনরায় পড়তে হবে না।
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
إِذَا أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدِ الْمَاءَ تَيَمّمَ وَصَلّى حَتّى يُدْرِكَ الْمَاءَ، فَإِذَا أَدْرَكَ الْمَاءَ اغْتَسَلَ.
কারো গোসল ফরয হওয়ার পর সে যদি পানি না পায় (অথবা পানি ব্যবহার করতে সক্ষম না হয়) তবে সে তায়াম্মুম করে নামায পড়বে। কিন্তু যখন পানি পেয়ে যাবে (অথবা পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হবে) তখন তাকে গোসল করতে হবে। (আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকী, বর্ণনা: ১০৩৭; মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, বর্ণনা: ৯১৯, ৯২৪)
-কিতাবুল আছল ১/৮৮, ৯০; আলবাহরুর রায়েক ১/১৬৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৩; রদ্দুল মুহতার ১/২৫৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم