প্রশ্ন
আমি ভার্সিটির একজন ছাত্র। আগে দ্বীনের বুঝ না থাকায় নামায-রোযা ঠিকমত আদায় করতাম না। এখন দ্বীনের বুঝ পেয়েছি। তাই পিছনের জীবনে ছেড়ে দেওয়া নামায-রোযা কাযা করা শুরু করেছি। আমি বিগত রমযানে আব্বু আম্মুর জোরাজুরির কারণে ভোর রাতে সাহরী করে রোযা রাখতাম। পরে ভার্সিটিতে এসে ভেঙ্গে ফেলতাম। আমি শুনেছি, রোযা রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙে ফেললে শুধু কাযা করাই যথেষ্ট না; বরং কাফফারা আদায় করতে হয়। জানার বিষয় হল, আমি তো এভাবে অনেক রোযা ভেঙ্গেছি। এখন আমি এত কাফফারা কীভাবে আদায় করব? শরীয়তে আমার জন্য কোনো ছাড় আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি বিনা ওযরে যতগুলো রোযা ভেঙ্গেছেন প্রত্যেকটির জন্য একটি করে কাযা আদায় করবেন। আর সবকটি রোযার জন্য একটি কাফফারা আদায় করবেন। যেটি পিছনের সবগুলো রোযার জন্য যথেষ্ট হবে। প্রতিটির জন্য ভিন্ন ভিন্ন কাফফারা আদায় করতে হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, বিনা ওযরে রোযা ভাঙ্গা অনেক বড় অন্যায়। পরবর্তীতে এর কাযা সম্ভব হলেও এর যথাযথ ক্ষতিপূরণ কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ لَمْ يُجْزِهِ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ.
যে ব্যক্তি সফর অথবা অসুস্থতা ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবেই রমযানের কোন রোযা ভঙ্গ করবে সে আজীবন রোযা রাখলেও এর সত্যিকারের বদলা হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা: ৯৮৯৩)
সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে, যেন সামনে এমন না হয়। আর পিছনের ভুলের জন্য কাযা-কাফফারার পাশাপাশি তাওবা-ইস্তেগফার করে নিতে হবে।
-কিতাবুল আছল ২/১৫৩; খিযানাতুল আকমাল ১/৩২১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ১/১০২; আদ্দুররুর মুখতার ২/৪১৩
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم