প্রশ্ন
ঈদের নামাযের পর ইমাম সাহেব খুতবা পড়ার সময় অনেককে দেখা যায় ইমাম সাহেবের সঙ্গে তাকবীরে তাশরীক পড়েন। জানার বিষয় হল, ঐ সময় ইমাম সাহেবের সঙ্গে তাকবীর বলা কি ঠিক, না চুপ থেকে খুতবা শোনা উচিত?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
ঈদের নামাযের পর ইমাম যখন খুতবা পড়েন তখন মুসল্লীদের চুপ থেকে ইমামের খুতবা শোনা ওয়াজিব। এমনকি সকল প্রকারের কথাবার্তা এবং দুআ ও যিকির ইত্যাদি উচ্চারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। ইমাম তাকবীর বললে তার সঙ্গে তাকবীরও বলা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন-
وَجَبَ الْإِنْصَاتُ فِي أَرْبَعَةِ مَوَاطِنَ: الْجُمُعَةِ وَالْفِطْرِ وَالْأَضْحَى وَالِاسْتِسْقَاءِ.
অর্থাৎ চার স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিব। জুমা, দুই ঈদ ও ইস্তিস্কার খুতবার সময়। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ৫৬৪২)
হযরত ইবনে জুরাইজ (রাহ.) বলেন-
قُلْتُ لِعَطَاءٍ: أَيَذْكُرُ اللهَ الْإِنْسَانُ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ عَرَفَةَ أَوْ يَوْمَ الْفِطْرِ وَهُوَ يَعْقِلُ قَوْلَ الْإِمَامِ؟ قَالَ: لَا، كُلّ عِيدٍ فَلَا يُتَكَلّمُ فِيهِ.
আমি আতা (রাহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আরাফার দিন এবং ঈদের দিন ইমাম যখন খুতবা পড়েন তখন কি কেউ যিকির করতে পারবে? তিনি বললেন, না। প্রত্যেক ঈদের খুতবার সময়ই চুপ থাকতে হয়। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ৫৬৪০)
– আলমাবসূত, সারাখসী ২/৩৮; কিতাবুল আছল ১/৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬১৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৫৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৬১০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم