প্রশ্ন
নামায সম্পর্কে আমার কয়েকটি বিষয় জানার ছিল।
১. প্রত্যেক ওঠা-বসার সময় মুক্তাদী কি ইমামের সাতে সব তাকবীর বলবে?
২. মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাতে প্রথম বৈঠকে শরিক হলে কি তাশাহ্হুদ পাঠ করবে?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
১. হাঁ, মুক্তাদী ইমামের সাথে প্রত্যেক ওঠা-বসায় তাকবীর বলবে। এ তাকবীরগুলো বলা মুক্তাদীর জন্যও সুন্নত (আর তাকবীরে তাহরীমা ফরয)। আবু হুরায়রা (রা). থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন-
إِنّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمّ بِهِ، فَإِذَا كَبّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا.
ইমাম নির্ধারণ করাই হয়েছে তার অনুসরণের জন্য। সুতরাং যখন তিনি তাকবীর বলেন তোমরাও তাকবীর বল, তিনি যখন রুকু করেন তোমরাও রুকু কর। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭৩৪)
-হাশিয়াতুত তাহাবী আলাল মারাকী, পৃ. ২৮২; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ৩১৯
২. হাঁ, মাসবুক ইমামের সাথে প্রথম বৈঠকে শরিক হলেও তাশাহহুদ পড়বে। এক্ষেত্রে তার দুই রাকাত পূর্ণ না হলেও ইমামের অনুসরণে তাশাহহুদ পড়বে। ইবরাহীম নাখায়ী (রাহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
رجُل سَبَقَهُ الْإِمَامُ بِشَيْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ، أَيَتَشَهَّدُ كُلَّمَا جَلَسَ الْإِمَامُ؟ قَالَ: نَعَمْ.
অর্থাৎ মাসবুক ইমামের সাথে প্রত্যেক বৈঠকেই তাশাহহুদ পড়বে।
-কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ১৩১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৫৬৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৫৯; রদ্দুল মুহতার ২/৮৫; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/২৯৯; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১০১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم