প্রশ্ন
একটি বইয়ে পেলাম, অজুর পর একবার সূরা কদর পাঠ করা হলে সিদ্দীকিনদের সাথে হাশর হবে। জানতে চাচ্ছি, এর কোনো ভিত্তি আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
حامدا و مصليا و مسلما
অজুর পর সূরা কদর পাঠ করার বর্ণনাটি একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা। ইমাম সাখাবী (রহ.) বলেন,
قراءة سورة {إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ} عقب الوضوء لا أصل له
‘অজুর পর সূরা কদর পাঠ করার বর্ণনাটি ভিত্তিহীন।’ [আলমাকাসিদুল হাসানাহ পৃ. ৬৬৪; বর্ণনা: ১১৬২]
তবে অজুর পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা শরিয়ত সম্মত ও মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ – أَوْ فَيُسْبِغُ – الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
‘তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে অজু করে এ দোয়া পড়বে- ‘আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু’। তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم